চিফ সার্জন ডা. বরখার ফোনে বাধা পড়ল কমলেশ আর আভার সন্ধাভোজনে। ফোন রেখে আভা রাগে ফেটে পড়লেন “স্বাধীনতা মানে কিন্তু যা ইচ্ছা তাই নয়, মেয়েকে বলে দিয়ো। হাসপাতালে ফেলে যাওয়া কার একটা বাচ্চা, অবিবাহিত মেয়ে হয়ে বাড়ি আনতে চাইছে।” কমলেশের মনে পড়ে গেলো তেইশ বছর আগের শিলং। সারাদিন ঝড় জল। হোটেলের পাশের ঘরের মেয়েটির স্বামী সন্তানসম্ভব স্ত্রী কে বেরিয়ে আর ফেরেনি। মধ্য রাত্রে প্রসব করেই মারা গেলো মেয়েটি। পরেরদিন জানা যায় তরুণ টির ধ্বসে চাপা পড়ার খবর। নিঃসন্তান কমলেশের ঘর ভরে উঠছিলে। “ও তো তোমারি মেয়ে আভা,কি করে অন্য রকম হতে পারে?” স্তব্ধ আভা উঠে বরণডালা সাজাতে গেলো।